ভারতের দিল্লিতে লিভ-ইন সঙ্গীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর দেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ এবার নিরাপত্তা ক্যামেরার একটি ফুটেজ পেয়েছে। ফুটেজে ওই তরুণীকে শেষবার তার বাড়িতে ঢুকতে দেখা গেছে, যা হত্যাকাণ্ডের স্থানের কাছাকাছি।
২৩ বছর বয়সী নিক্কি যাদবের মরদেহ মঙ্গলবার তার প্রেমিক সাহিল গেহলটের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁর ফ্রিজের মধ্যে পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহের সন্ধান পাওয়ার পরই সাহিলকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
সিসিটিভি ফুটেজে নিকি যাদবকে শেষবার দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে তার ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেখা গেছে। ৯ ফেব্রুয়ারির ভিডিওতে তিনি একা ছিলেন। পুলিশ বলছে, এর কয়েক ঘণ্টা পরই সাহিল গেহলট তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্য এক মেয়েকে সাহিলের বিয়ে করা নিয়ে নিকির বাড়ির কাছাকাছি একটি গাড়ির মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে সাহিল চার্জিং কেবল দিয়ে নিকিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তিনি আতঙ্কিত হয়ে তার পরিবারের রেস্তোরাঁর ফ্রিজে মরদেহ লুকানোর সিদ্ধান্ত নেন।
নিকি কখনোই জানতেন না যে তার লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে অন্য মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ের এক দিন আগে তিনি এ ব্যাপারে জানতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাহিল অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাওয়ায় তিনি মামলার হুমকি দিয়েছিলেন। অন্যান্য প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তিনি গোয়াতে টিকিট বুক করেছিলেন এবং সাহিলকে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
নিকি নিখোঁজ হওয়ার পর তার এক প্রতিবেশী পুলিশকে খবর দিলে তারা সাহিলকে খুঁজে বের করে। সাহিলের পরিবার হরিয়ানার ঝাজ্জারে থাকে। নিকিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সাহিল তার বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন, যা মরদেহ লুকিয়ে রাখা রেস্তোরাঁ থেকে ৭০০ মিটার দূরে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (অপরাধ) রবীন্দ্র সিং যাদব জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি একজন ফোন করে জানায়, একজন ব্যক্তি তার বান্ধবীকে হত্যা করেছে এবং একই দিনে অন্য একজন মেয়েকে বিয়ে করেছে।পুলিশের দাবি, সাহিল জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘স্বীকার করেছে’ এবং প্রকাশ করেছে যে তিনি নিক্কির দেহ কোথায় লুকিয়েছিলেন।এদিকে সাহিলের নববধূ তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। নিক্কি এবং সাহিলের মধ্যে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় পরিচয় হয়। তারা কয়েক বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিক্কির বাবা সুনীল যাদব সাহিলের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছেন।