প্রতিষ্ঠার পর থেকেই যাত্রাপথে যাত্রীদের সুবিধার্থে নামাজের বিরতি দিয়ে আসছে গ্রীন লাইন পরিবহন, আগামী দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে বলে বিডি২৪লাইভ-কে জানিয়েছে পরিবহনটির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সত্তার।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নামাজের জন্য গ্রীন লাইন পরিবহনের যাত্রাপথে বিরতি’র বিষয়টি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। যেখানে অধিকাংশ মানুষই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে কিছু সংখ্যাক মানুষকে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলতেও দেখা গেছে।মুলত, গ্রীন লাইন পরিবহনের ফেসবুক পেইজ থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার শুরু। যেখানে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে, গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাসকে
সড়কের পাশে থামতে দেখা যায়। এসময় যাত্রীদেরকে বাস থেকে নেমে মসজিদের উদ্দেশ্য হেটে যেতে দেখা যায়।ভিডিওর সঙ্গে পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়, ফজরের নামাজ আদায়ের জন্যে যাত্রা বিরতি দিলো আমাদের বাস। সন্মানিত যাত্রীবৃন্দ, যাত্রাপথে নামাজের সময় হলে নামাজ আদায় করে নিবেন। আমাদের বাসের নামাজের বিরতি বাধ্যতামূলক। যাত্রাপথে নামাজের সময় হলে আমাদের বাসের কর্তব্যরত গাইডকে নামাজের বিরতির জন্য বলুন, সে আপনার এই নির্দেশনা মানতে বাধ্য থাকিবে। ওই পোস্টের কমেন্টবক্সে নানা শ্রেণির মানুষকে নিজেদের মন্তব্য পোষণ করতে দেখা যায়। যার অধিকাংশই ছিল পরিবহনটির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানোর মতো। তবে ব্যতিক্রমও ছিল। কারো
কারো মতে যাত্রাপথে একজন যাত্রীর জরুরি কাজ থাকতে পারে, সেখানে অধিক বিরতি সমস্যার কারণ হতে পারে। ফেসবুকে এই পোস্ট ও কমেন্টকে ঘিরেই চলছে আলোচনা বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, গ্রীন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সত্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমাদের পরিবহনে যাত্রাপথে যাত্রীদের সুবিধার্থে নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। আমাদের এমডি সাহেবের এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা ড্রাইভিং অনেক সময় ক্লান্তি ও দূর্ঘটনার কারণ হয়। তাই ড্রাইভার-হেলপারদেরকে নামাজের সময় একটি সুরক্ষিত জায়গায় বাসটি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে মসজিদে নামাজ আদায় করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।নামাজের জন্য যাত্রাবিরতি
নিয়ে যাত্রীদের কোনো আপত্তি থাকে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের কথা ভেবেই এই যাত্রাবিরতি। সেখানে কারো এতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। দেখা যায়, আমাদের একটি বাস গন্তব্য পৌছাবে রাত ১০ টায়। বাসটি ছেড়েছে বিকেল ৫ টায়। ফলে পথেই মাগরিব ও এশার নামাজের সময় হয়। সেক্ষেত্রে অনেক যাত্রীই, এসময় নামাজটা জামাতের সাথেই পড়ে নিতে আগ্রহ দেখায়। অনেক যাত্রী বাসে টিকেট কাটার আগেও জেনে নেয়, নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা।
তাদের কথা চিন্তা করেই যাত্রাপথে এই নামাজের জন্য বিরতিটা দেওয়া হয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তাদের উদ্দেশ্য আব্দুস সত্তার বলেন, এটা যে খুব দীর্ঘ বিরতি এমনও কিন্তু নয়। নামাজের জন্য ১০-১৫ মিনিটই যথেষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে বাসের যে সকল যাত্রীগন নামাজ আদায় করে নিতে চান, তাদেরকে নিয়ে বাকিদেরও কোনো আপত্তি থাকে না। তবুও যারা সমালোচনার চোখে দেখছেন, তারাও আমাদের বাসে চড়বেন এবং বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।